সিরিজ জয়ের মিশনে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তানের বোলারদের পাত্তাই দিচ্ছে না বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। দুজনের ব্যাটে চড়ে প্রথম ৬ ওভারে টাইগারদের সংগ্রহ ৫৪ রান।
রোববার (১৬ জুলাই) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ১৭ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রান সংগ্রহ করেছে আফগানরা। জয়ের জন্য ডিএলএস পদ্ধতিতে টাইগারদের করতে হবে ১১৯ রান।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৬ চারের মারে ২৪ বলে ৩১ রানে অপরাজিত আছেন লিটন। তার সঙ্গী আফিফ ১২ বলে এক ছয়ের মারে ১৫ রানে অপরাজিত আছেন। জয়ের জন্য ৬৬ বলে আর মাত্র ৬৫ রান প্রয়োজন লাল সবুজের প্রতিনিধিদের জন্য। এ ম্যাচ জিতলে প্রথমবার আফগানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতবে বাংলাদেশ। এ ফরম্যাটে আগের ১০ বারের দেখায় ৬ জয় রশিদদের আর ৪ জয় টাইগারদের।
এর আগে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ম্যাচের শুরুতেই বাংলাদেশকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন পেসার তাসকিন আহমেদ। আক্রমণে এসে নিজের প্রথম দুই ওভারে দুই আফগান ওপেনারকে সাজঘরে ফেরান তিনি। ইনিংস শুরুর পঞ্চম বলে তাসকিনের শর্ট লেংথের বল ক্রিজ ছেড়ে বের হয়ে খেলতে গিয়ে ওপরে তুলে দেন গুরবাজ। এগিয়ে গিয়ে তাসকিন নিজেই তালুবন্দি করে নেন বল। ৫ বলে ৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন গুরবাজ।
এরপর তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে তাসকিনের বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন হযরতউল্লাহ জাজাই। মাত্র ১৬ রানেই ২ উইকেট হারায় আফগানরা। এরপর ক্রিজে এসে দলের হাল ধরেন মোহাম্মদ নবি ও ইব্রাহিম জাদরান। কিন্তু তাদের জুটিতে আসেনি ৩২ রানের বেশি। মাঝে বৃষ্টির বাধায় দেড় ঘণ্টার বেশি সময় বন্ধ ছিল ম্যাচ। ওভার কমে আসায় হাত খুলে ব্যাট চালানোর চেষ্টা করেন এ দুই ব্যাটার। কিন্তু টাইগার বোলারদের তোপে তারা ক্রিজে টিকতে পারেননি। ইনিংসের দশম ওভারে আক্রমণে এসে মুস্তাফিজের স্লোয়ারে কট-বিহাইন্ড হন নবি।
আগের ওভারে নাসুমের বলে সাকিব ও লিটনের হাতে জীবন পাওয়া এ ব্যাটার থামে ২২ বলে ১৬ রান করে। পরের ওভারে আক্রমণে আসা সাকিবকে তুলে মারতে গিয়ে লং অনে আফিফের হাতে ধরা পড়েন ইব্রাহিম। ২৭ বলে ২২ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ওভারের প্রথম বলে ইব্রাহিমকে আউট করার পর শেষ বলে সাকিব বোল্ড করেন ক্রিজে আসা নাজিবুল্লাহ জাদরানকে। তিনি ৩ বলে ৫ রান করেন। দলীয় ৬৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় আফগানরা।
ষষ্ঠ উইকেটে অবশ্য প্রতিরোধ গড়ে তুলে আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও করিম জানাত মিলে ২৯ বলে ৪২ রান এনে দেন দলকে। ওমরজাই ২১ বলে ২৫ ও করিম ১৫ বলে ২০ রান করে আউট হন। শেষদিকে রশিদ খান এসে ৩ বল মোকাবিলায় একটি বিশাল ছক্কা হাঁকান। তাতে তাদের সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ১১৭ রান।
টাইগার বোলারদের মধ্যে তাসকিন ৪ ওভারে ৩৩ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট তুলে নেন। ২টি করে উইকেট নেন সাকিব ও মুস্তাফিজুর।
Post a Comment