আন্দোলনরত পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিকেল শিক্ষার্থীদের (ট্রেইনি চিকিৎসক) ভাতা ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার করা হয়েছে।
রোববার (১৬ জুলাই) রাতে ভাতা বাড়ানোর বিষয়টি সময় সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন,
ভাতা বাড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা হয়েছিল, তিনি আন্দোলনের বিষয়ে জানেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী আজকে চিকিৎসকদের ভাতা ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকায় উন্নীত করেন। এবং প্রধানমন্ত্রী তাদের পড়াশোনায় ফিরে যেতে বলেন।
শিক্ষার্থীরা এটা মেনে না নিলে কী পদক্ষেপ নেয়া হবে- জানতে চাইলে বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, ‘এটাতো আমার দেখার বিষয় না। আমার কাজ হচ্ছে আমার কাছে যে টাকা আসবে সেটা পৌঁছে দেয়া। বাকি কে কী করলো সেটা দেখার বিষয় আমার না। তারা যদি প্রধানমন্ত্রীর কথা অমান্য করে আবার সড়কে নামে তবে এতে আমার কিছু বলার নেই।’
এদিকে ৫ হাজার টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নন বেসরকারি রেসিডেন্ট ও নন-রেসিডেন্ট পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিকেল শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চিকিৎসকদের প্রতিনিধি ডা. জাবির হোসেন সময় সংবাদকে বলেন,
ভাতা বাড়ানোর বিষয়ে আমরা শুধু শুনেছি। তবে আমাদের কাছে লিখিত কিছুই আসেনি। আর আসলেও আমরা এটা মেনে নেব না। কেননা আমরা মাত্র ৫ হাজার টাকার জন্য আন্দোলনে নামিনি। আমাদের দাবি, ৫০ হাজার টাকা ভাতা করতে হবে।
এর আগে দুপুরে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে শাহবাগ-কাটাবন সড়ক অবরুদ্ধ করে রাখে চিকিৎসকরা। পুলিশের অনুরোধের পরও তারা সড়কে অবস্থান করায় বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ শাহবাগে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন।
শারফুদ্দিন আহমেদ আন্দোলনরত চিকিৎসকদের কাছে এক সপ্তাহ সময় চেয়ে তাদের সড়ক ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানান। তবে চিকিৎসকরা তাতে সম্পূর্ণ আশ্বস্ত না হয়ে উপাচার্যের কাছে লিখিত আশ্বাস চান।
আন্দোলনরত চিকিৎসকদের উপাচার্য বলেন, ‘তোমারা সড়কটা ছেড়ে দাও এবং তোমাদের পড়াশোনায় ফিরে যাও। আমি সময় চাইছি, আমাকে সময় দাও। রাজি না হলে যা মন চায় কর।’
তবে চিকিৎসকরা তাতে সম্পূর্ণ আশ্বস্ত না হয়ে উপাচার্যের কাছে লিখিত আশ্বাস চান। পরবর্তীতে উপাচার্য তার কার্যালয়ে ফিরে গেলে চিকিৎসকদের প্রতিনিধিরা উপাচার্যের কাছে লিখিত আশ্বাস নিতে যান। উপাচার্য একটি লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে চিকিৎসকদের আশ্বস্ত করেন যে সাত দিনের মধ্যেই তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
এরপর প্রতিনিধি দল পুনরায় শাহবাগে ফিরে আসে। পরে তারা সড়ক ছেড়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে শাহবাগ জাদুঘরের দিকে চলে যান একইসঙ্গে তাদের চলমান কর্মবিরতি আগামী সাত দিন চলমান থাকবে বলেও জানান।
চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে ডাক্তার তুহিন সময় সংবাদকে বলেন, ‘আমারা এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গেছি। আমাদের প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারীর সঙ্গে কথা বলেছিল। সেখানে আমরা তিন ঘণ্টা বসেও সাক্ষাৎ করতে পারিনি। পরে প্রধানমন্ত্রীর পিএস আমাদের কাছে ২ দিনের সময় চাওয়ার পর আমরা আমাদের দাবির কোনো অগ্রগতি দেখিনি।’
Post a Comment